অ্যান্টার্কটিকায় আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়ে পড়ছে এইচ এন ওয়ান ভাইরাস, বা বার্ড ফ্লু, যা বর্তমানে মহামারিতে রূপ নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভাইরাসটি লাতিন আমেরিকার পরিযায়ী পাখির মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছেছে। বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বসবাসকারী হাজারো সামুদ্রিক পাখি ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে। এক্সপ্লোরারস ওয়েব নামক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু অ্যান্টার্কটিকার বিভিন্ন অঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় এবং পরিযায়ী পাখির মধ্যে ব্যাপক মৃত্যু ঘটছে। বিশেষ করে স্কুয়া পাখির মধ্যে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। চিলির গবেষক দল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করছে।
চিলির গবেষক জুলিয়ানা ভিয়ানা বলেছেন, "গেল বছর অ্যান্টার্কটিকা উপদ্বীপ এবং এর আশপাশের অঞ্চলে প্রথম এ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। তবে তখন কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ বছর, পাখির প্রজনন মৌসুমে, প্রথম মৃত্যুর ঘটনা দেখা গেছে, বিশেষ করে স্কুয়া পাখিদের মধ্যে। আমি আশঙ্কা করছি, এই পাখির মাধ্যমে ভাইরাসটি অন্যান্য প্রজাতির মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।"
পন্টিফিশিয়াল ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব চিলি এবং মিলেনিও বেস ইনস্টিটিউটের যৌথ প্রচেষ্টায় ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ, পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ চলছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুদূর দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আগত পরিযায়ী পাখির মাধ্যমে ভাইরাসটি অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছেছে এবং অল্পদিনেই এটি মহামারিতে পরিণত হয়েছে।
চিলির গবেষক ফ্যাবিওলা লিওন জানান, "অ্যান্টার্কটিকায় এভিয়ান ফ্লু শনাক্ত হওয়া নিয়ে আমরা সবাই শঙ্কিত। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে, এই ভাইরাস জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠবে।" গবেষকদের আশঙ্কা, দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, এই ভাইরাস স্তন্যপায়ী প্রাণী এমনকি মানবদেহেও সংক্রমিত হতে পারে।